বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন
আনোয়ার হোসেন- কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
রুপসী বাংলার ছয় ঋতুতে বিভিন্ন গাছে গাছে ফুলের মেলা বসে।রং-বেরঙের ফুলে সারা বছরই সেজে থাকে বাংলার প্রকৃতি। সুন্দরের প্লাবণে ভাসায় আমাদেরকে।ফুলের বিচিত্র গঠন ও মাধুর্যে ভরা গন্ধ আমাদের মনে জাগায় বিস্ময়কর অনুভূতি।
এমন অনুভূতিতে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ফুটেছে এ্যাকলিফা ফুল।তবে স্থানীয়রা কাউন ফুল নামে বেশি চেনেন।দেখতে শস্য দানা কাউনের মতো।
তাই এরকম নামকরণ।আবির মাখা রংগে এ ফুল দেখতে কত অপূর্ব! কত নিখুঁত, নিপুণ গাঁথুনি সত্যিই এ ফুলের সবুজের বর্ণিল সাজ সবাইকে বিমোহিত করে তুলেছে।এ ফুলের গন্ধ নেই। আছে পাতার ভাঁজে ভাঁজে নুয়ে পড়া মায়াবি রূপের ঝলকানি। দারুণ মোহময়।
দেখলে কেবল দেখতেই ইচ্ছে হয়।কবি সত্যেন্দনাথ দত্তের নিচের কবিতার পঙক্তি থেকে বুঝা যায় ফুলের প্রতি ছিল তার অবাধ অনুরাগ জোটে যদি মোটে একটি পয়সা, খাদ্য কিনে ও ক্ষুধার লাগি। দু’টি যদি জোটে অর্ধেকে তার, ফুল কিনি নিয়ো, হে অনুরাগী! তাই কবির অনুরাগের আত্মপ্রকাশ ঘটিয়ে সদর ইউপির কেশবা কলেজ পাড়ার মরহুম শেরিফ উদ্দিনের ছেলে সোহাগ নিজ বাড়িতে এ ফুলের বাগান গড়ে তুলেছেন।
তিনি জানান- মানুষের মুগ্ধতা, ভালোবাসা, শুভেচ্ছা, এমনকি সহানুভূতি প্রকাশের জন্য ফুলের বিকল্প নেই।
তাছাড়াও পরিবেশ ও প্রকৃতি সৌন্দর্য বর্ধনে ফুলের ঝুড়ি নেই। শীতকাল ছাড়া প্রায় সারা বছর এ ফুল সৌন্দর্য বিলায়।আর এক ফুল হলদে সুন্দরী অলকানন্দা।
এ ফুল বাহাগিলী গয়া কাশি ধাম আশ্রম কেন্দ্রে হলুদের আলপনা অপূর্ব সৌরভ ছড়াচ্ছে। ফুলগুলো দেখতে অনেকটা মাইক বা ঘণ্টার মতো।তাই কেউ কেউ মাইক ফুল আবার কেউ ঘণ্টালতাও বলে থাকে। গাঢ় হলদের বর্ণিলতায় ৫টি পাপড়ি আর সবুজ পাতার নান্দনিক গঠন সহজেই নজর কাড়ে সেখানে বিভিন্ন পূজা পার্বণে আগন্তুক ভক্তবৃন্দদের।
এসময় ঘন সবুজ গাছের চিরল চিরল পাতার উপর হলুদময় সুগভীর শোভায় অনেকে হারিয়ে যায় মনের গহিন অরণ্যে।তবে ফুলগুলো গন্ধ নেই।
ওই আশ্রমের পুরোহিত রঞ্জিত গোস্বামী বলেন- সৌন্দর্যের পাশাপাশি বিভিন্ন পূজা পার্বণে ফুলের গুরুত্ব অপরিসীম।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষণ অফিসার আজিজার রহমান বলেন- এটি মুলত বসন্ত ও গ্রীষ্মকালের ফুল।তবে বর্ষার সময়ও ফুটতে দেখা যায়। ফুলটি প্রায় দু সপ্তাহ খানেক সতেজ থাকে। প্রকৃতির শোভা বর্ধন এবং মনের প্রফুল্লতার জন্য ফুলের চেয়ে অন্য কোনো কিছু তুলনীয় নয়।